Thursday 26 January 2017

চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা

খানসামার প্রাণকেন্দ্র, প্রস্তাবিত পৌরসভা ও গ্রামীণ শহর পাকেরহাটে অবস্থিত বড় মাঠকে স্টেডিয়াম রুপান্তর করার জন্য প্রস্তুতি চলছে এবং সেই প্রস্ততির অংশ হিসেবে আজ বড় মাঠ পরিদর্শন করেন খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সহিদুজ্জামান শাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ:সভাপতি আতোয়ার হোসেন, গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আইনুল হক শাহ, খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজেদুল হক সাজু ও আংগারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ও ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম শাহ সহ আরো অনেকে।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা ফোরাম



কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ডিজিটাল উদ্যোক্তা ফোরামের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া তিন নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজনকে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন রহিমা খাতুন, রিনিয়া খাতুন ও হারুনুর রশিদ। জানা গেছে, দুই দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার থেকে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের অনশন চলছে। সারা দেশের প্রায় তিন হাজার সদস্য এতে অংশ নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের পর এক সংবাদ সম্মলেনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি কিছুদিন স্থগিত ছিল। তবে দাবি আদায়ে তারা আবারও আমরণ অনশন র্কমসূচি শুরু করেছেন। ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের দুই দফা হচ্ছে- চাকরি স্থায়ীকরণ ও জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্তকরণ।
দাবি পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফোরাম নেতারা।
ফোরাম সভাপতি মো. হাসিম উদ্দিন জানান, চার হাজার ৫৪৭টি ডিজিটাল সেন্টারে ৯ হাজার ৯৪ উদ্যোক্তা কাজ করেন। তারা দফায় দফায় আন্দোলন করেও সরকারের কোনো আশ্বাস পাননি। তাই হাজারও পরিবারের কথা বিবেচনা করে অনশনে নামতেবাধ্য হয়েছেন। রোববার দুপুরে শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা গেছে, অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সদস্যরা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ কাগজ বিছিয়ে রোদের মধ্যে শুয়ে পড়েছেন।
অনশনে মিডিয়া কমিউনিকেশনের দায়িত্বে থাকা আসাদুল হক চঞ্চল যুগান্তরকে জানিয়েছেন, রোববার সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়া সদস্য হারুনুর রশিদকে আইসিডিডিআরবিতে ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়ি গফরগাঁওয়ের রসুলপুর ইউনিয়নে। রোববার দুপুরে রিনিয়া খাতুন ও রহিমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, অনশনের দুই দিনেও তাদের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কেউ যোগাযোগ করেননি।

বিএনপির সভাপতি আ. লীগে

সহিদুজ্জামান শাহ্


Friday 20 January 2017

ফেদেরিকো ফেলিনি শুভ জন্মদিন,



ইতালীয় নিওরিয়ালিজমের অন্যতম প্রাণ পুরুষ তিনি। ১৯৯২ সালে সর্বকালের সেরা প্রভাব রাখা ১০ ছবির তালিকায় তাঁর দুটি ছবির নাম আসে—‘লা স্ত্রাদাঅত্তে মেজো। পেয়েছিলেন পাঁচবার অস্কার পুরস্কার। তিনি ফেদেরিকো ফেলেনি। আজ তাঁর জন্মদিন।
১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি ইতালির রিমিনিতে জন্ম হয় ফেলিনির। কৈশোরেই সৃজনশীল কাজে নিজের দক্ষতা দেখাতে শুরু করেন। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় স্থানীয় থিয়েটারে তারকাদের ক্যারিকেচার করতেন। ১৯৩৯ সালে আইন পড়তে ইতালির রাজধানী রোমে পাড়ি জমালেও একটি স্যাটায়ার ম্যাগাজিনে কাজ করা শুরু করেন। ঠিক এই সময়ে তাঁর লেখালেখি শুরু হয়। লেখেন রেডিওর জন্য পাণ্ডুলিপি। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় অভিনেত্রী জুলিয়েতা মাজিনার সঙ্গে। তারপরেই ঘর বাঁধেন একসঙ্গে, সালটা ছিল ১৯৪৩।
ফেলিনির চলচ্চিত্রে কাজ শুরু চিত্রনাট্যকার হিসেবে। ইতালির বিখ্যাত পরিচালক রব্যার্তো রোসেলিনির লেখক দলে যুক্ত হয়ে যান। ১৯৪৫ সালে রোসেলিনির ছবি রোমা চিত্তা আপেরতা জন্য প্রথমবারের মতো ফেলিনি অস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। বিখ্যাত এ জুটি ইতালিকে উপহার দেন বিখ্যাত সব ছবি।
এরপরে নিজেই পরিচালনায় চলে আসেন ফেলিনি। ১৯৫১ সালে ফেলিনি প্রথম পরিচালনা করেন দ্য হোয়াইট শেকছবিটি। কিন্তু তাঁকে সফলতা এনে দেয় ১৯৫৩ সালের ছবি ই ভিত্তেলনি। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়নপুরস্কার জেতে। এক বছর পরেই ফেলিনি ঘরে তোলেন অস্কার পুরস্কার। লা স্ত্রাদাছবির জন্য বিদেশি ভাষা শাখায় অস্কার জেতেন ফেলিনি। একে একে তৈরি করেন লে নত্তি দি কাবিরিয়া’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘ফেলিনি সাতিরিকন’, ‘ফেলিনি রোমা’, ‘আমারকরদ’-এর মতো বিখ্যাত সব ছবি।
পাম দ, অস্কারসহ পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা জিতেছেন ফেলিনি। ১৯৯৩ সালে পান আজীবন অস্কার সম্মাননা। জাপান আর্ট অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে প্রিমিয়াম ইম্পিরিয়ালসম্মাননা দেয়, যা নোবেল প্রাইজের মতো সম্মানীয় বলে ধরে নেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ৭৩ বছর বয়সে রোমে হৃদ্‌রোগে মারা যান এ কিংবদন্তি। বায়োগ্রাফি ডটকম

কোচিং ফি বাড়লে কী হবে?



বছরের শুরুতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোচিং শিক্ষকেরা টিউশন ফি বাড়িয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে তাঁরা এটা করেছেন। এতে মধ্যবিত্ত অভিভাবকেরা আরও এক দফা চাপে পড়তে যাচ্ছেন। কারণ, নিশ্চিতভাবেই এ কথা বলা যায়, বাড়িভাড়া শুধু কোচিং শিক্ষকদেরই বাড়েনি, সবারই কমবেশি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ সবাই সমানভাবে অনুভব করেন। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য ব্যাপারটা দুর্বিষহ।
খুব সাধারণ হিসাব থেকেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। একটি নির্দিষ্ট আয়ের পরিবারের দুই সন্তান যদি স্কুলে পড়াশোনা করে, তাহলে তাদের পেছনে সেই পরিবারের কত টাকা ব্যয় হতে পারে? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই শিশুরা যদি সরকারি স্কুলে পড়ে, তাহলেও তাদের কোচিং বাবদ মাসে অন্তত ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এর সঙ্গে স্কুল-কোচিংয়ে আসা-যাওয়া, টিফিন, শিক্ষাসামগ্রী বাবদ ব্যয় তো আছেই। এর সঙ্গে বাড়িভাড়া, খাবার, সামাজিকতা, যোগাযোগ বাবদ আরও কত টাকা ব্যয় হতে পারে, সেই হিসাব আর না-ই বা করলাম। এখন সেই ব্যক্তির মাসিক রোজগার যদি ৩০ হাজার টাকা হয়, তাহলে তিনি কীভাবে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করবেন, সেই কথা কি আমরা ভেবে দেখেছি? আর শিশুরা যদি বেসরকারি বা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করে, তাহলে কী পরিমাণ টাকা ব্যয় হতে পারে, তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এ কথা ভাবার অবকাশ নেই যে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শুধু বিত্তবানের সন্তানেরা পড়াশোনা করে না, নির্দিষ্ট আয়ের মধ্যবিত্তের সন্তানেরাও এখন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করছে। এই মানুষদের অবস্থা কেমন হচ্ছে, তা কি আমরা একবার ভাবছি? আবার কেউ যদি সন্তানকে কোচিংয়ে না পড়াতে চান, তাহলে শিক্ষকেরা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, যাতে অভিভাবকেরা সন্তানকে কোচিংয়ে দিতে বাধ্য হন।
নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জ্বালাটা বেশি। বাস্তবতা হচ্ছে, অন্তত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরের বাসিন্দাদের পক্ষে এখন আর বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয় না। তাঁদের সবাই কমবেশি অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তাঁদের ওপর কী পরিমাণ চাপ পড়ছে, তা আমাদের রাষ্ট্র কখনো ভেবে দেখে না!
অন্যদিকে সৃজনশীল পদ্ধতির সুষ্ঠু প্রয়োগের অভাবে আমাদের শিক্ষা যেভাবে কোচিং ও প্রাইভেট টিউশন-নির্ভর হয়ে উঠছে, তাতে মধ্যবিত্তের অবস্থা ত্রাহি মধুসূদন। অথচ কথা ছিল, এই সৃজনশীল পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যার চাপ থেকে রেহাই দেবে। তাদের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট শিক্ষকের ওপর নির্ভরতা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না দেওয়া এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে সৃজনশীল পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে না তোলার জন্য শিক্ষার্থীরা আরও বেশি করে কোচিং সেন্টারের দ্বারস্থ হচ্ছে। আবার অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে মোটেও পড়ানো হয় না। শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করছেন। রাজধানীর বড় বড় কোচিং সেন্টারের সামনে গেলে এই বাস্তবতা বোঝা যায়। ওখানে অভিভাবকদের সে কী ব্যস্ততা, সন্তানকে এক কোচিং সেন্টার থেকে আরেক কোচিং সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে! ফলে অনেক নারী যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি করতে পারছেন না। এ অবস্থায় আমাদের বিপুল পরিমাণ শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে, যা নিয়ে পৃথকভাবে গবেষণা করা যেতে পারে।
কথা হচ্ছে, শিক্ষা যে পুরোপুরি ব্যক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে, সেখানে রাষ্ট্রের ভূমিকা যে ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে, এ জন্য মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। তার জীবন কষ্টকর হয়ে উঠছে। শিক্ষাও যদি সবকিছুর মতো পণ্য হয়ে যায়, তাহলে বৈষম্য আরও বেড়ে যায়। এটা মোটেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত নয়।