Thursday 29 December 2016

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০১৬

https://drive.google.com/file/d/0B78HbTz4Ezi_YXdsU2RRUnNCUlE/view?usp=sharing

৯৮ দশমিক ৫১ ভাগ পাস প্রাথমিক সমাপনীতে, ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫



পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে এ বছর।
এর মধ্যে প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন। আর ইবতেদায়িতে ৫ হাজার ৯৪৮ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বৃহস্পতিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।
দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার কথা রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর। তার সংবাদ সম্মেলনের পরেই শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
২০১৫ খিস্টাব্দে এ পরীক্ষায় প্রাথমিকে ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এই হিসাবে এবার ইবতেদায়িতে পাস বাড়লেও প্রাথমিকে সামান‌্য কমেছে।
তবে দুই ক্ষেত্রেই পূর্ণ জিপিএ, অর্থাৎ ৫-এ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ‌্যা বেড়েছে এবার। গতবছর প্রাথমিকে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮০ জন এবং ইবতেদায়িতে ৫ হাজার ৪৭৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
চলতি বছর ২০ থেকে ২৭ নভেম্বর সারা দেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে সমাপনী পরীক্ষায় হয়। প্রাথমিকে ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৪ জন এবং ইবতেদায়ীতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জন এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।

পরীক্ষা সফল



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সমালোচনার পরেও আমরা প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নিয়েছি। আমরা মনে করেছি, শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করতে হবে এবং শিশুকাল থেকে পরীক্ষাভীতি দূর করতে। সেদিক থেকে সফলতা আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে এসব পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এতে দেখা গেছে, জেএসসি ও জেডিসিতে এবার পাসের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ শিক্ষার্থী।
আর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৯। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অন্য দেশের তুলনায় মেধাবী। একটু যত্ন নিলেই তারা আরও ভালো করবে। আগামীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখে বিশ্বের দরবারে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এজন্য শিশুদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করার জন্যই শিশুকাল থেকে পরীক্ষা ভীতি দূর করতে হবে। সে লক্ষ্যে পিইসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পিইসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে পাসের হার বেড়েছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। মেয়েরা পরীক্ষার ফলাফলেও এগিয়ে।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে দেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পুরস্কার পায় আর বিএনপি-জামায়াতের আমলে পায় তিরস্কার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তি চাই, সুন্দর জীবন চাই। উন্নত জীবন চাই। এজন্য আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।

Friday 23 December 2016

২৯০ উপজেলায় ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগ



বিটিসিএল ২৯০ উপজেলায় ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য ৪শ৯৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। আগামী ডিসেম্বরে এসব উপজেলায় ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কও বিস্তৃত করা হবে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন ও ইন্টারনেট সুবিধা বাড়ানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ হয়েছে গত জুনে। এখন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে। বেসরকারী মোবাইল অপারেটররা সারাদেশে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিলেও তা অনেক ব্যয়বহুল।
এ সেবা সাধারণ মানুষের পক্ষে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে গ্রামপর্যাযে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার জন্য এনএসএনভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য চীন প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে। সরকারী অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ স্থাপিত হলে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। তখন শহর ও গ্রামের বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে।
বিটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনতেঅপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট এ্যাট উপজেলা লেভেল প্রজেক্টনামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এ প্রকল্পের আওতায় ৭ বিভাগের ৬৪ জেলার ২৯০টি উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
বিটিসিএলের চেয়ারম্যান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটির কাজ গত বছরের জুলাই মাসে শুরু হয়। এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০১৬ সালের ৩০ জুন ছিল। কেবল স্থাপনের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হয়েছে। এখন প্রকল্পের যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ঢাকা বিভাগের ১৬ জেলার ৬৭ উপজেলায়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৫৯ উপজেলা, রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার ৩৮ উপজেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৭ উপজেলা, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৪২ উপজেলায়, সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ২৬ উপজেলা এবং বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ২১ উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযোগ স্থাপন করা হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পে কেবল কেনা হয়েছে খুলনা কেবল কোম্পানি থেকে। তবে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ করবে বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মাটি খননের কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদার। ৭ লাখ ৮ হাজার ৩০ মাইল এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল বসানো হয়েছে। এই অপটিক্যাল ফাইবার উপজেলা এক্সচেঞ্জের সঙ্গে জেলা এক্সচেঞ্জকে সংযুক্ত করেছে। উপজেলা এক্সচেঞ্জ থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে যে কোন সময় এ নেটওয়ার্ক বিস্তার করা যাবে।
বেসরকারী অপারেটররাও এ অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের সংযোগ সুবিধা নিতে পারবে। সারাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ৪২ জেলার দেড় শতাধিক নোডে মোট ৪৬ হাজার ক্ষমতাসম্পন্ন এডিএসএল এক্সেস নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত বিটিসিএলের ৭৪৭টি এক্সচেঞ্জের (৬৪ জেলার) অপটিক্যাল ফাইবার কেবলের সঙ্গে সংযোগ ঘটেছে।
দেশে টেলিফোনের সংযোগ ক্ষমতা ১৪ লাখের বেশি হলেও এ সুবিধার আওতায় আসেনি বেশিরভাগ টেলিফোন। ইন্টারনেট সেবা দেয়ার যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি হলেও সেই সেবা থেকে গ্রাহক বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে কম দামে গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছেন না।
বিটিসিএল জানিয়েছে, টেলিফোন, এডিএসএল, ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথের চার্জ কমিয়ে আনা হয়েছে। ব্যয়বহুল কপার কেবলের বদলে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে খরচ কমানোর পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার ফাইবার কেবল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়।