Friday 13 January 2017
খানসামায় হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত
১৩-০১-২০১৭ তারিখ
স্টাফ রির্পোটারঃ হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাসহ উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ঠিকমত কাজ করতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। এই উপজেলায় বেশ ক’দিন থেকে কমতে শুরু করেছে স্বাভাবিক
তাপমাত্রা। এরপর হিমেল বাতাস বইতে শুরু করায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রমতে,খানসামায় বৃহ:বার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তুলনায় একটু তাপমাত্রা
বাড়লেও হিমেল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত বছর এই তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী
কয়েকদিনের মধ্যে এই তাপমাত্রা আরো কমতে পারে এবং চলতি মাসেই আরো দুই দফায় শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।
উপজেলার পাকেরহাটের ভ্যান চালক শরীফ উদ্দিন জানান, চরম শীতের কারণে এমনিতেই
ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তীব্র শীতে জড়োসড়ো হয়ে যাচ্ছে। এরপরও পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। কিন্তু শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন লোক বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যা
কম। তাই রোজগারও কম হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যেই এখন জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে তাদের।
তীব্র শীতের পাশাপাশি রাত থেকে দুপুর অবধি ঘন কুয়াশার চাদরে আচ্ছাদিত থাকছে গোটা এই উপজেলা।
সড়কে যানবাহনও চলছে ঝুঁকি নিয়ে। সকাল ১০টা বাজলেও রাস্তাগুলোতে যানবাহন চলাচল করছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।
দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রো চালক
পুলিন রায় জানান, ঘন কুয়াশার কারণে সাবধানতার সাথে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাদের। এ জন্য গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগছে বেশি।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। আর শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
উপজেলার কাচিনিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সামসুদ্দোহা মুকুল জানান, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতের কারণে শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে শিশু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি শিশুদের যাতে শীত না লাগে এ জন্য পিতা-মাতাদের সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment