Friday 20 January 2017

ফেদেরিকো ফেলিনি শুভ জন্মদিন,



ইতালীয় নিওরিয়ালিজমের অন্যতম প্রাণ পুরুষ তিনি। ১৯৯২ সালে সর্বকালের সেরা প্রভাব রাখা ১০ ছবির তালিকায় তাঁর দুটি ছবির নাম আসে—‘লা স্ত্রাদাঅত্তে মেজো। পেয়েছিলেন পাঁচবার অস্কার পুরস্কার। তিনি ফেদেরিকো ফেলেনি। আজ তাঁর জন্মদিন।
১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি ইতালির রিমিনিতে জন্ম হয় ফেলিনির। কৈশোরেই সৃজনশীল কাজে নিজের দক্ষতা দেখাতে শুরু করেন। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় স্থানীয় থিয়েটারে তারকাদের ক্যারিকেচার করতেন। ১৯৩৯ সালে আইন পড়তে ইতালির রাজধানী রোমে পাড়ি জমালেও একটি স্যাটায়ার ম্যাগাজিনে কাজ করা শুরু করেন। ঠিক এই সময়ে তাঁর লেখালেখি শুরু হয়। লেখেন রেডিওর জন্য পাণ্ডুলিপি। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেখা হয় অভিনেত্রী জুলিয়েতা মাজিনার সঙ্গে। তারপরেই ঘর বাঁধেন একসঙ্গে, সালটা ছিল ১৯৪৩।
ফেলিনির চলচ্চিত্রে কাজ শুরু চিত্রনাট্যকার হিসেবে। ইতালির বিখ্যাত পরিচালক রব্যার্তো রোসেলিনির লেখক দলে যুক্ত হয়ে যান। ১৯৪৫ সালে রোসেলিনির ছবি রোমা চিত্তা আপেরতা জন্য প্রথমবারের মতো ফেলিনি অস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। বিখ্যাত এ জুটি ইতালিকে উপহার দেন বিখ্যাত সব ছবি।
এরপরে নিজেই পরিচালনায় চলে আসেন ফেলিনি। ১৯৫১ সালে ফেলিনি প্রথম পরিচালনা করেন দ্য হোয়াইট শেকছবিটি। কিন্তু তাঁকে সফলতা এনে দেয় ১৯৫৩ সালের ছবি ই ভিত্তেলনি। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়নপুরস্কার জেতে। এক বছর পরেই ফেলিনি ঘরে তোলেন অস্কার পুরস্কার। লা স্ত্রাদাছবির জন্য বিদেশি ভাষা শাখায় অস্কার জেতেন ফেলিনি। একে একে তৈরি করেন লে নত্তি দি কাবিরিয়া’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘ফেলিনি সাতিরিকন’, ‘ফেলিনি রোমা’, ‘আমারকরদ’-এর মতো বিখ্যাত সব ছবি।
পাম দ, অস্কারসহ পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা জিতেছেন ফেলিনি। ১৯৯৩ সালে পান আজীবন অস্কার সম্মাননা। জাপান আর্ট অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে প্রিমিয়াম ইম্পিরিয়ালসম্মাননা দেয়, যা নোবেল প্রাইজের মতো সম্মানীয় বলে ধরে নেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ৭৩ বছর বয়সে রোমে হৃদ্‌রোগে মারা যান এ কিংবদন্তি। বায়োগ্রাফি ডটকম

No comments:

Post a Comment